আগামী ৩০ জুলাই অনুষ্ঠেয় রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটি নির্বাচনে দলের একক মেয়র প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ। রাজশাহীতে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, সিলেটে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান ও বরিশালে দলের কেন্দ্রীয় নেতা আবুল হাসনাত আবদুল্লাহর ছেলে মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদিক আবদুল্লাহকে আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দিয়েছে। গতকাল শুক্রবার গণভবনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে তাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকের শুরুতে তিন সিটিতে মনোনয়ন প্রত্যাশী ১০ জনের সাক্ষাত্কার নেওয়া হয়।
সূত্র জানায়, সভা শেষে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা দলের মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীদের পক্ষে এক হয়ে কাজ করার নির্দেশনা দেন। তিনি বলেন, সব নেতা-কর্মী যে যেখানে আছে, কেন্দ্র যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা মেনে সবাই এক হয়ে কাজ করবে। মানুষের কাছে যেতে হবে। সরকারের উন্নয়নের কথা বলতে হবে। নির্বাচনে হারজিত থাকতে পারে মন্তব্য করে সরকার প্রধান বলেন, এবারের ফুটবল খেলায় দেখতে পাচ্ছেন, যারা জেতার কথা তারা জিতছে না, গোলই দিতে পারে না। এটা রাজনীতিতেও হতে পারে। নির্বাচনগুলোতে হারলেই যে আমাদের সিট চলে যাবে বা ক্ষমতা হারাবো সেটা নয়। তেমনি হারলে ইজ্জত চলে যাবে সেটাও না। আমাদের জিততে গিয়ে যেন কোনও রকম বদনাম না হয়। বিএনপির মাগুরা মার্কা ভোট যেন না হয়, সেদিকে সবাইকে দৃষ্টি দিতে হবে। এটা আওয়ামী লীগ নয় সব দলের জন্যই প্রযোজ্য।
মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে বরিশালে পাঁচজন, সিলেটে চারজন ও রাজশাহীতে একজন ছিলেন। রাজশাহী থেকে একমাত্র প্রার্থী হিসেবে আবদেনপত্র জমা দেন সাবেক মেয়র এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। বরিশাল থেকে প্রার্থী হতে আবেদন ফরম জমা দেন বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদিক আবদুল্লাহ, কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি খান আলতাফ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জাহিদ ফারুক, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ, সহ-সভাপতি মীর আমিন উদ্দিন ও সদস্য মাহমুদুল হক খান। সিলেট থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ করেন সাবেক মেয়র মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর ফয়জুল আনোয়ার এবং অধ্যাপক জাকির হোসেন। নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ২৮ জুন।
এদিকে গতকাল আওযামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভায় ২৫ জুলাই অনুষ্ঠেয় কুড়িগ্রাম-৩ আসনের উপ-নির্বাচনে একক প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। এ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন এম এ মতিনকে। প্রসঙ্গত, গত ১১ মে জাতীয় পার্টির (এ) সংসদ সদস্য এ কে এম মাইদুল ইসলামের মৃত্যুতে কুড়িগ্রাম-৩ আসনটি শূন্য হয়। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ২৪ জুন।